নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় পূর্বগাঁও ইকোনমিক জোনে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে সিটি গ্রুপ। প্রায় ৯৩ একর জমিতে তৈরি এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১১ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এতে চীন, জাপান ও থাইল্যান্ড বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিটি গ্রুপের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল সিটি গ্রুপের আওতাধীন পূর্বগাঁও ইকোনমিক জোনকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। উপস্থিত ছিলেন সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এ সময় মো. হাসান বলেন, ‘আমরা এর আগে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সিটি ইকোনমিক জোন ও হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছি। সেই সঙ্গে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। একই ধারায় পূর্বগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ অবিলম্বে শুরু হবে। এখানে পরিবেশবান্ধব একটি শিল্প এলাকা গড়ে তোলা হবে, যেখানে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এরই মধ্যে চীন, জাপান ও থাইল্যান্ড থেকে বিনিয়োগের বিষয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে গ্যাস-বিদ্যুৎ না পেলে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারায়।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘আগামীতে জোনের বাইরে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের অনুমতি দেয়া হবে না। আর এসব জোনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ-গ্যাস দেয়ার বিষয়ে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এ সময় চলমান গ্যাস সংকটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে কিছুটা গ্যাস সংকট রয়েছে। তবে এটা সাময়িক সমস্যা। সরকার এলএনজি আমদানির মাধ্যমে জোগান বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।
সিটি গ্রুপ সূত্র জানায়, পূর্বগাঁও ইকোনমিক জোনে স্টিল মিলস, কেমিক্যালস এবং সিরামিক খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অদূরে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯৩ একর জমিতে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে, যা ভবিষ্যতে ১৫০ একরে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় নৌপথ ও সড়কপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলটির অবস্থান রাজধানী থেকে ২৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একই গ্রুপের সিটি ইকোনমিক জোনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ২০১৮ সালে। সেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। আর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ১০৮ একর জমিতে হোসেন্দী ইকোনমিক জোন গড়ে তুলেছে সিটি গ্রুপ।
অর্থসংবাদ/এমআই