চিকিৎসকেরা অনেক সময় সকালে খালি পেটে মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এটি আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়, যা সারাদিন শরীরে থাকে। এ ছাড়া ঘুমানোর আগে এক টেবিল চামচ মধু শুধু আরামদায়ক ঘুমই দেয় না বরং হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং শরীর ও মনকে শিথিল করে। মধু একটি চমৎকার প্রাকৃতিক ওষুধ। প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
মধু ও লেবু জল শরীরে যেভাবে কাজ করে
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ফ্রি র্যাডিক্যাল খাবার হজমের সময় শরীরে তৈরি হয় এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে মধুর সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে পান করার পরামর্শ দেন। এটি একটি দুর্দান্ত মর্নিং ড্রিঙ্ক। এটি মেটাবলিজম বাড়ায় যার ফলে শরীরের চর্বি গলে।
যখন লেবু এবং মধু হালকা গরম পানির সঙ্গে মেশানো হয়, তখন এটি একটি ডিটক্সে পরিণত হয়। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ফোলাভাব থেকে মুক্তি দেয় এবং লিভার পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। এটি খেলে শরীর শুধু একটি বা দুটি নয়, অসংখ্য উপকার পায়। খালি পেটে হালকা গরম পানিতে খেলে শরীরে দারুণ প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া লেবু ও মধু উভয়েরই নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই তিনটি মিশিয়ে তৈরি এই পানীয় শরীরের জন্য খুবই উপকারী হয়ে ওঠে।
জল, লেবু ও মধুর পানীয়টি কার পান করা উচিত না?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের পেটের আলসার এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তাদের এই পানীয় পান করা উচিত নয়। খালি পেটে মধু এবং লেবু পানি পান করে পেটে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়, তাহলে বুঝতে হবে অ্যাসিডিটি বা পেটের আলসারের সমস্যা রয়েছে। এর ফলে পেটে জ্বালাপোড়াও হতে পারে এবং পরে ব্যথাও অনুভব করতে পারেন। তাই এড়িয়ে চলুন। এ ছাড়া কারও টনসিলের সমস্যা থাকলে এই পানীয়টি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের দূরে থাকতে হবে
মধু ও লেবুর জল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের চিনি ও মধু থেকে দূরে থাকতে হবে। যাদের ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি আছে তাদের ভুল করেও এই পানীয় পান করা উচিত নয়। আপনি যদি সম্প্রতি ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি করে থাকেন যাকে ওজন কমানোর সার্জারিও বলা হয়, তাহলে এই পানীয়টি পান করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপারেশনের পর মধু বা চিনি খেলে ডাম্পিং সিনড্রোম হতে পারে, যা খুবই বিপজ্জনক।