পুঁজিবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তালিকাভূক্ত কোম্পানি ২৩টি। এর মধ্যে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ১৯টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সম্পদমূল্য (এনএভি) বেড়েছে ১২টির। একই সময়ে সম্পদমূল্য কমেছে ৭টি কোম্পানির এবং ৪টি কোম্পানি হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এই তথ্য জানা গেছে।
অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে তথা ৬ মাসে সম্পদ মূল্য (এনএভি) বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে- যমুনা অয়েল, বারাকা পাওয়ার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ডরিন পাওয়ার, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, লুব-রেফ বাংলাদেশ, এমজেএল বাংলাদেশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা অয়েল, পাওয়ারগ্রীড কোম্পানি, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং তিতাস গ্যাস লিমিটেড।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদমূল্য বেড়েছে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের। অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২২৩ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থবছরের শুরুতে ছিল ২০৫ টাকা ৪৯ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ১৮ টাকা ৪৫ পয়সা।
বারাকা পাওয়ার
হিসাবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২২ পয়সায়। অর্থবছরের শুরুতে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য ছিল ২১ টাকা ৯৯ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ২৩ পয়সা।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল
হিসাবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির এনএভি দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৭৪ পয়সা। অর্থবছরের শুরুতে ছিল ৮ টাকা ২৭ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা।
ডরিন পাওয়ার
হিসাবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির এনএভি দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থবছরের শুরুতে যা ছিল ৫০ টাকা ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ২ টাকা ৪৭ পয়সা।
ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস
হিসাবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৯৪ টাকা ১০ পয়সা। অর্থবছরের শুরুতে ছিল ১৮৮ টাকা ৬৩ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ৫ টাকা ৪৭ পয়সা।
লুব-রেফ বাংলাদেশ
হিসাবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪১ পয়সা। অর্থবছরের শুরুতে ছিল ৩৪ টাকা ৩৫ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ০৬ পয়সা।
এমজেএল বাংলাদেশ
হিসাবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৩২ পয়সা। অর্থবছরের শুরুতে ছিল ৪৪ টাকা ২৭ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ০৫ পয়সা।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম
হিসাবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির এনএভি দাঁড়িয়েছে ২১৭ টাকা ৪৮ পয়সা। অর্থবছরের শুরুতে ছিল ২০০ টাকা ০১ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ১৭ টাকা ৪৭ পয়সা।
পদ্মা অয়েল
হিসাবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির এনএভি দাঁড়িয়েছে ২২০ টাকা। অর্থবছরের শুরুতে ছিল ২০৩ টাকা ৪৬ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ১৬ টাকা ৫৪ পয়সা।
পাওয়ারগ্রীড কোম্পানি
হিসাবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৬৫ টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থবছরের শুরুতে ছিল ১৫৯ টাকা ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ৬ টাকা ২৮ পয়সা।
শাহজিবাজার পাওয়ার
হিসাবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ০৯ পয়সা। অর্থবছরের শুরুতে ছিল ৩৬ টাকা ৭১ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ৩ টাকা ৩৮ পয়সা।
তিতাস গ্যাস
হিসাবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির এনএভি দাঁড়িয়েছে ৭১ টাকা ৯১ পয়সা। অর্থবছরের শুরুতে ছিল ৭১ টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ১৬ পয়সা।
এসএম