ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

বাড়তি চাহিদায় ভারতে বেড়েছে তুলার ব্যবহার

টেক্সটাইল মিলগুলোয় চাহিদা বাড়ার সঙ্গে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বাড়ায় ভারতে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে তুলার ব্যবহার। কটন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।

এতে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ তুলাবর্ষ শুরু হয়েছে গত বছরের অক্টোবরে। জানুয়ারি পর্যন্ত চার মাসে দেশটিতে তুলা ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ বেলে (প্রতি বেলে ১৭০ কেজি), আগের বছরের একই সময় যা ছিল ৯২ লাখ ৫০ হাজার বেল। সে হিসেবে ব্যবহার ১৯ শতাংশ বেড়েছে।

অ্যাসোসিয়েশন আরো জানায়, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে দেশটিতে ৮১ লাখ বেল তুলা ব্যবহার হয়েছিল, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৬৫ লাখ বেল। অর্থাৎ ওই প্রান্তিকে ব্যবহার ২০ শতাংশ বেড়েছিল।

অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অতুল গানাত্রা বলেন, ‘চলতি বছর টেক্সটাইল মিলগুলোর মুনাফা মার্জিন কমে গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য মালিকরা পূর্ণ সক্ষমতায় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বিষয়টি তুলার ব্যবহার বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘উত্তর ও মধ্য ভারতে টেক্সটাইল মিলগুলো শতভাগ সক্ষমতায় কার্যক্রম চালাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের মিলগুলো চলছে ৭৫ শতাংশ সক্ষমতা ব্যবহার করে। চলতি বছর ভারতের মিলগুলো গড়ে প্রায় ৯০ শতাংশ সক্ষমতা ব্যবহার করছে।’

জানুয়ারি পর্যন্ত চার মাসে বাজারে তুলার সররবাহ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৭ লাখ ১৫ হাজার বেলে, গত বছরের একই সময় যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার বেল। এ চার মাসে দেশটি আমদানি করেছে চার লাখ বেল, যা গত বছরের একই সময় ছিল ৫ লাখ ৮০ হাজার বেল। অর্থাৎ স্থানীয় সরবরাহ বাড়ায় আমদানির পরিমাণ কমেছে। মৌসুমের শুরুর দিকের মজুদ দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ৯০ হাজার বেলে।

জানুয়ারি পর্যন্ত চার মাসে দেশটি দ্বিগুণেরও বেশি তুলা রফতানি করেছে। এ সময় রফতানির পরিমাণ ছিল নয় লাখ বেল, গত বছরের একই সময় যা ছিল চার লাখ বেল।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক মাস আগেও তুলা রফতানিতে হিমশিম খাচ্ছিল ভারত। কিন্তু গত মাসের শুরুর দিকে বৈশ্বিক দাম, বিশেষ করে মার্কিন বাজার আদর্শ তুলার বাজারদর বেড়ে ১৭ মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছলে আশাবাদী হয়ে ওঠেন ভারতের রফতানিকারকরা। দামের সুবিধার কারণে দেশটি থেকে ক্রয় বাড়াচ্ছে আমদানিকারক দেশগুলো।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার