বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেড়ে চলা চড়া সুদহারে চাপের মুখে পড়েছে ইস্পাত খাত। ধীর হয়ে পড়েছে ধাতুটির উৎপাদন প্রবৃদ্ধির হার। জানুয়ারিতে অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৮১ লাখ টনে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে যা ছিল ১৫ কোটি ৬ লাখ টন। ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন মাসভিত্তিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক দেশগুলোর তালিকায় প্রথম চীন। জানুয়ারিতে সেখানে ধাতুটির উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। উৎপাদন হয়েছে ৭ কোটি ৭২ লাখ টন। তবে দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ ভারতে উৎপাদন ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ২৫ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।
তুরস্কের উৎপাদন ২৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৩২ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। ইরানে ২৬ লাখ টন উৎপাদন হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে রাশিয়ায় এক বছরের ব্যবধানে ইস্পাত উৎপাদন ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৬২ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া উৎপাদন করেছে ৫৭ লাখ টন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া জাপানের উৎপাদন দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৭৩ লাখ টনে পৌঁছেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে উৎপাদন যথাক্রমে দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৬৮ লাখ ও দশমিক ৯ শতাংশ কমে ২৯ লাখ টনে নেমেছে। ব্রাজিলে উৎপাদন ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ঠেকেছে ২৫ লাখ টনে।
অঞ্চলভেদে জানুয়ারিতে আফ্রিকার দেশগুলোয় অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় তা কমেছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। এশিয়া ও ওশেনিয়া মহাদেশে উৎপাদন ৩ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। মধ্যপ্রাচ্যে তা বেড়েছে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ। উত্তর আমেরিকায় ২ দশমিক ১ শতাংশ ও দক্ষিণ আমেরিকায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই