পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা মোতাবেক তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর) উঠে যাচ্ছে আগামীকাল সোমবার (৪ মার্চ)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত হিসাববছরে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আজ রবিবার (০৩ মার্চ) কোম্পানিটির রেকর্ড তারিখ। রেকর্ড পরবর্তী প্রথম কার্যদিবস আগামীকাল সোমবার (৪ মার্চ)। এদিন থেকে কোম্পানিটির শেয়ারে ফ্লোরপ্রাইস থাকবে না।
পুঁজিবাজারের লেনদেনে গতি ফিরে আসায় ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকা কোম্পানির সংখ্যা ধাপে ধাপে কমিয়ে আনছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির নির্দেশনায় ফ্লোর প্রাইসে থাকা সর্বশেষ তিন কোম্পানি- বিএটিবিসি, গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটার শেয়ারের উপর থেকেও ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। তবে কোম্পানি তিনটির নিজ নিজ রেকর্ড তারিখের পরবর্তী কার্যদিবস থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানানো হয় নির্দেশনায়। সেই হিসাবে আজ বিএটিবিসির রেকর্ড তারিখ হওয়ায় পরবর্তী প্রথম কার্যদিবস আগামীকাল সোমবার থেকে কোম্পানিটির শেয়ারে ফ্লোরপ্রাইস থাকবে না। এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনের রেকর্ড ডেট ছিলো। আজ থেকে কোম্পানিটির শেয়ারে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর নেই।
শেয়ারবাজারের দরপতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে কোনো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বিএসইসির বেঁধে দেওয়া দামের নিচে নামতে পারে না। ফলে শেয়ারবাজারে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করে, পাশাপাশি কমে যায় লেনদেন। এমন এক পরিস্থিতিতে গত ২১ জানুয়ারি প্রথম দফায় ৩৫টি বাদে বাকি সব প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৩ জানুয়ারি তুলে নেওয়া হয় আরও ২৩ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। সর্বশেষ গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি আরও তিন কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকা ৬টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ার।
এসএম