পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু অর্থায়নে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাত সাধারণত জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়নে আগ্রহী নয়। এ লক্ষ্যে তাদের প্রণোদনা দেওয়া দরকার, অভিযোজন কার্যক্রমে বিনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করা দরকার।
শুক্রবার (১ মার্চ) কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ জাতিসংঘের পরিবেশ সম্মেলনে ‘ব্যাপক অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য পরিবেশগত লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রবাহ নিশ্চিত করা’ শীর্ষক অধিবেশনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের সরকারগুলোর নেতৃত্ব অতীতে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তার ফলে পরিবেশগত লক্ষ্য পূরণ আরও কঠোর হয়ে উঠছে। শুধু চুক্তি স্বাক্ষর বা যুগান্তকারী রেজুলেশন তৈরি করা যথেষ্ট নয়, এর বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দুর্বলতা থেকে স্থিতিস্থাপকতা ও শেষ পর্যন্ত সমৃদ্ধিতে উত্তরণের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এটির জন্য প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশ, তার প্রচুর বায়ু ও প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানসহ জলবায়ু অর্থায়নের জন্য একটি পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছে।
কেনিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী ও কেনিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের তৃতীয় সচিব মো. সাব্বির আহমেদ প্রমুখ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।