যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বাংলাদেশ ও চীন সরকার একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করেন। দুই দেশের উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে, বিশেষ করে ক্রীড়াক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। চীন বিভিন্ন ক্রীড়ার উন্নয়নে বাংলাদেশে অভিজ্ঞ কোচ পাঠাতে আগ্রহী। বিশেষ করে, টেবিল টেনিস খেলার উন্নয়নে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দেরকে দেড় মাস মেয়াদি উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য চীন থেকে দক্ষ কোচ পাঠাতে আগ্রহী। অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বয়সী প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চীন সরকার চায়, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ক্রীড়ার ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরো গভীর ও জোরদার হোক। এজন্য আগামী এক মাসের মধ্যে ক্রীড়া বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের লক্ষ্যে খসড়া প্রস্তাব বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, চীন বাংলাদেশের অকৃত্রিম ও পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের প্রায় সকল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যান্য সেক্টরের মতো চীন সরকার বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া খাতেও বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশই যুব শক্তি। আধুনিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকার তাদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করছে। দেশে-বিদেশে তারা বিভিন্ন কর্মমুখী পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট, ফুটবল, আরচারি, শুটিংসহ বিভিন্ন খেলায় ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক সাফল্য অর্জন করছে। বাংলাদেশ চীনে ক্রিকেট ও কাবাডি খেলার উন্নয়নে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নারী ফুটবলসহ ক্রীড়ার বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই