পুঁজিবাজারে সিরামিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত দুই বছর ধরে লোকসানে রয়েছে। ফলে গত দুই বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি কোম্পানিটি। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ৩৪ পয়সা করে লোকসান হয়েছে। তবে লোকসানি এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১০৬ টাকায়। কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৩ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই’২০২৩-সেপ্টেম্বর’২০২৩) স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ৩৪ পয়সা লোকসানে রয়েছে। আর গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিলো ৩ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় লোকসান বেড়েছে ৪ টাকা ৩৪ পয়সা বা ১৪৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত দুই বছরের প্রত্যেক প্রান্তিকের কোম্পানিটির এ লোকসানের ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে কোম্পানিটির শেয়ার ৯৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০৬ টাকা পর্যন্ত দরে লেনদেন হচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারটির ক্লোজিং দর ছিলো ১০৬ টাকা।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৩ তারিখে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট দায় ছিল ২২ টাকা ১৬ পয়সা। আর ক্যাশ ফ্লো ছিলো মাইনাস ৮ টাকা ১৬ পয়সা।
লোকসানের কারণ সম্পর্কে কোম্পানি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উত্তরণ পরবর্তী অর্থনীতির নিম্নমুখিতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব, জাহাজীকরণ ব্যয় বৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান হ্রাস পাওয়া সংক্রান্ত কারণে পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানিতে অতিরিক্ত খরচ বৃদ্ধি এবং গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অন্যতম। এসব কারণে কোম্পানির উৎপাদন, বিক্রি ও সার্বিক মুনাফা কমে গেছে। তা সত্ত্বেও কোম্পানি তার নির্ধারিত ব্যয় নির্বাহ করার পাশাপাশি কর্মীদের বেতন শতভাগ নিশ্চিত করেছে। এ জন্য কোম্পানিকে সর্বশেষ হিসাব বছরে কর পরবর্তী নিট মুনাফায় বড় ধরনের হোঁচট খেতে হয়েছে।
ডিএসই সূত্র মতে, লোকসানে থাকায় গত দুই বছরে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি সিরামিক খাতের কোম্পানিটি। সর্বশেষ গত ২০২১ সালের ৩০ জুন হিসাববছরে নামমাত্র নগদ ১ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৫০টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালক ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৬৩ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
এসএম