মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ৩৫ শতাংশ বেশি দামে নতুন ওষুধ বাজারে এনেছে, যার কারণে ডিস্ট্রফির মতো বিরল রোগে চিকিৎসা ও থেরাপি ব্যয় বাড়ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশ্লেষণে সম্প্রতি এ তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি ৪৭ প্রকার ওষুধের ওপর বিশ্লেষণ চালিয়েছে রয়টার্স। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে একটি নতুন ওষুধের জন্য মাঝারি বার্ষিক তালিকা মূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার, যা এক বছর আগের ২ লাখ ২২ হাজার ডলার থেকে বেড়েছে।
জেএমএতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মধ্যম মানের ৩০ প্রকার ওষুধের বার্ষিক মূল্য ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
২০২২ ও ২৩ সালে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুমোদিত নতুন পণ্যগুলোর অর্ধেকেরও বেশি ছিল বিরল রোগের জন্য। অর্থাৎ এ দাম বৃদ্ধি দুই লাখের কম মানুষকে প্রভাবিত করবে এবং খুব বেশি পরিমাণে বড় বিক্রেতাদেরও প্রভাবিত করবে না। বিরল রোগের হার আগের পাঁচ বছরের ৪৯ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়েছে।
রয়টার্স গত বছর এফডিএ অনুমোদিত ৫৫ প্রকার উন্নত ওষুধ বিশ্লেষণ করেছে। ২০২২ সালে এ ওষুধগুলোর সংখ্যা ৩৭। সংস্থাটির বায়োলজিক বিভাগ চারটি জিন থেরাপিসহ ১৭টি নতুন পণ্য অনুমোদন করেছে।
রয়টার্সের চালানো এ বিশ্লেষণে ফাইজারের মতো মাঝে মাঝে ব্যবহৃত ভ্যাকসিন ও এ জাতীয় ওষুধগুলো বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যেগুলো বাণিজ্যিকভাবে এখনো চালু হয়নি, এমন ওষুধগুলোও বাদ রাখা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই