মার্কিন নীতি সুদহার শিগগিরই কমছে না, এমন খবরে প্রভাব পড়েছে তেলের বাজারে। গত সপ্তাহে তেলের দাম কমেছে দুই থেকে তিন শতাংশ। আজ সোমবার সকালে এশিয়ার বাজারে তেলের দাম কমেছে। দাম কমার মধ্য দিয়ে চলতি সপ্তাহটাও শুরু হলো তার জের দিয়ে।
আজ সকালে এশিয়ার বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৪ সেন্ট কমে ৮১ দশমিক ২৮ ডলারে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ইউএস টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ৩৩ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি ৭৬ দশমিক ১৬ ডলারে নেমে এসেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান এএনজেডের বিশ্লেষকেরা নোটে লিখেছেন, তেলের দাম বাড়তে পারে—এমন কোনো নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়নি। একদিকে ওপেক ও সহযোগী সদস্যদেশগুলো তেলের উৎপাদন হ্রাস করছে; অন্যদিকে চীনের মতো দেশে চাহিদা কমে গেছে। বাস্তবতা হচ্ছে, তেলের বাজার এই দুই বিপরীতমুখী প্রবণতার মধ্যে আটকা পড়েছে।
ইরান–সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ইসরায়েল-হামাস সংকট চলছে। কিন্তু এই দুটি বড় ঘটনা তেলের সরবরাহে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেনি।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক জেক সালিভান গতকাল রোববার সিএনএনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতার ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন। যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এ ধরনের চুক্তি আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
মূলত গত সপ্তাহে তেলের দাম হ্রাসের ধারাবাহিকতায় আজ তেলের দাম কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার এখনো লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে না আসায় নীতি সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত আরও দু-তিন মাস পিছিয়ে যাবে—এমন খবর চাউর হওয়ার জেরে গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২ শতাংশ আর ডব্লিউটিআইয়ের দর ৩ শতাংশ কমেছে।
কাফি