ক্যাটাগরি: রাজধানী

শবে বরাতের রাতে মুসল্লিতে মুখর বায়তুল মোকাররম

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত। মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। তাতে দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে উপস্থিত হয়েছেন হাজারো মুসল্লি। কারো হাতে জায়নামাজ, কারো হাতে তসবিহ। প্রত্যেকেই জাতীয় মসজিদে ইবাদত বন্দেগি করার জন্য এসেছেন।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাদ এশা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও আশেপাশের এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।

শুধু বায়তুল মোকাররমই নয়, এশার নামাজকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সব মসজিদেই দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। নানা বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আসছেন জামাতে নামাজ আদায় করতে। আগত মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করতেই তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসেছেন।

গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে পবিত্র এই রাত উপলক্ষ্যে নামাজ পড়তে এসেছেন মাওলানা আশ্রাফ আলী।

তিনি বলেন, শবে বরাতের রাত হলো গুনাহ মাফের একটি রাত। এই রাতের অনেক ফজিলত, কারণ হলো এই রাতে আল্লাহ প্রথম আসমানে নেমে আসেন, বান্দার কথা শুনেন এবং প্রার্থনা কবুল করেন। শবে বরাত এলেই আমরা রোজার প্রস্তুতি শুরু করে দেই। তাড়াতাড়ি ইবাদত পুরো রমজান মাসে ইবাদতের একটা প্রস্তুতি।

তিনি আরও বলেন, পবিত্র শবে বরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। তাই শবে বরাত থেকেই কার্যত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।

এদিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে আতর, টুপি, মেসওয়াক, তসবিহ, মাস্ক, আগরবাতি, মোমবাতি, জায়নামাজ, পাঞ্জাবি, পাজামা, নামাজ শিক্ষা ও দোয়া-দরুদের বই, মুখরোচক নানা খাবার, শরবত, চায়ের স্টলসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বেশ কিছু দোকানে বর্ণিল বাতি দিয়ে সাজানো দেখা গেছে। কিছু মসজিদে বাড়তি মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে মসজিদের ছাদ, বারান্দা ও সড়কের একপাশে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শবে বরাতে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় রাতভর ইবাদত করেন মুসল্লিরা। নফল নামাজ, জিকির আসকার, কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সময় কাটান ইবাদাতকারীরা।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার