ভারতের বিমান পরিবহন সংস্থা গো ফার্স্ট দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় শিগগিরিই বিক্রি হয়ে যাবে। কোম্পানিটির অধিগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে অজয় ও বিজি বি এয়ারওয়েজের কনসর্টিয়াম ১ হাজার ৬০০ কোটি রুপির পুনর্গঠন পরিকল্পনা দিয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার কোটি রুপি ব্যয় হবে ঋণ পরিশোধে; বাকি ৬০০ কোটি রুপি বিনিয়োগ হবে কোম্পানির পুনরুজ্জীবনে। আরেকটি কোম্পানি দরপত্র জমা দিলেও তা উপযুক্ত নয়।
ইকোনমিক টাইমসের তথ্যানুসারে, রাষ্ট্রায়ত্ত সেন্ট্রাল ব্যাংক ও ব্যাংক অব বরোদার নেতৃত্বাধীন ঋণদাতা গোষ্ঠীর কাছে গো ফার্স্টের ঋণ ৬ হাজার ৫২১ কোটি রুপি। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ কোটি সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত; এরপর বাকি ঋণদাতাদের যুক্ত করলে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৪৬৩ কোটি রুপি। এই গোষ্ঠীর বাইরে স্কাই ওয়ান এয়ারওয়েজও দরপত্র দিয়েছে, যদিও তাদের প্রস্তাবিত অঙ্ক কিছুটা কম। এই পরিস্থিতিতে দুটি দরপত্রে ঋণদাতারা আদৌ সন্তুষ্ট হবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে সংশ্লিষ্ট মহলের।
গত বছরের মে মাসে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে গো ফার্স্ট। প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনির থেকে ইঞ্জিন না পাওয়া ও আর্থিক দায়বদ্ধতা পূরণের মতো প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ না থাকায় আর্থিকভাবে বিপদে পড়ে গো ফার্স্ট। এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা বন্ধের কথা জানিয়েছিল তারা।
দেউলিয়া বিধিতে সংস্থাটির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত দুটি আর্থিক দরপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে স্পাইস জেটের কর্ণধার অজয় সিংহ ও বিজি বি এয়ারওয়েজের যৌথ পুনর্গঠন পরিকল্পনা জনসমক্ষে এসেছে। অন্য দরপত্রটি পেশ করেছে শারজার স্কাই ওয়ান এয়ারওয়েজ। কিন্তু তাদের যে প্রস্তাব এবং গো ফার্স্টের যে ঋণ, তাতে সব দিক খতিয়ে দেখে সংশোধিত দরপত্র দেওয়ার আহ্বান জানানো হতে পারে। তাতেও কাজ না হলে কোম্পানি গুটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে ঋণদাতাদের কমিটিকে।
গো ফার্স্টের টিকিটের দাম কম। ফলে তাদের জনপ্রিয়তা ছিল। গত বছরের ৩ মে থেকে তাদের উড়ান বন্ধ হয়ে যায়। এরপর অবশ্য নতুন করে পরিষেবা চালুর জন্য বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএর কাছে আবেদন করে তারা। শর্ত সাপেক্ষে দৈনিক ১১৪টি উড়ান চালানোর জন্য গো ফার্স্টকে অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অর্থসংবাদ/এমআই