বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেড়ে চলা চড়া সুদহারে চাপের মুখে পড়েছে ইস্পাত খাত। ধীর হয়ে পড়েছে ধাতুটির চাহিদা প্রবৃদ্ধির হার। বছরের বাকি সময়জুড়ে এ প্রবণতা বজায় থাকবে। এমনটা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক বহুজাতিক মাইনিং ও মেটাল কোম্পানি বিএইচপি।
কোম্পানিটির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, উচ্চ সুদহারের কারণে বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রমও কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ইস্পাত খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ইস্পাতের পাশাপাশি এটি উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লা ও ধাতুটির প্রধান কাঁচামাল আকরিক লোহার চাহিদায় নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
তবে চীন ও ভারতে ইস্পাতের চাহিদা প্রবৃদ্ধি নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী বিএইচপি। কোম্পানিটির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, এ দুই দেশে ধাতুটির চাহিদা বলিষ্ঠভাবে বাড়তে পারে। তবে চীনে চাহিদা বাড়ার বিষয়টি মোটা দাগে দেশটির অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করছে।
বিএইচপি জানায়, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত সব দেশে প্রাণবন্তভাবে চাহিদা বাড়বে। তবে চীনের চাহিদা প্রবৃদ্ধি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
চীন বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক। গত বছর থেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে এ খাত। ধাতুটির উৎপাদন কমিয়ে দেয়ার নীতি চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কমে যায় আকরিক লোহার ব্যবহারও। ২০২৩ সালে দেশটিতে ইস্পাত উৎপাদন অপরিবর্তিত ছিল। এ সময় ১০১ কোটি ৯০ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়। তবে রফতানির পরিমাণ ছিল ব্যাপক। ফলে প্রকৃত স্থানীয় চাহিদা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই