বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, চীন, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করতে পেরেছে। এখন আমাদেরও প্রযুক্তির সুবিধাটা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিডার মাল্টিপারপাস হলে বিডা ও সুইসকন্টাক আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ইমপ্রুভমেন্ট (বিআইসিআই) প্রোগ্রাম’ এর সাত পর্বের সিরিজের প্রথম কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিডা ও এসএস এর মাধ্যমে ৩৮ সংস্থার ১১৩ বিনিয়োগ সেবা প্রদান করা হচ্ছে এবং দ্রুতই ৪৮ সংস্থার ১৫০টি বিনিয়োগ সেবা প্রদান করা হবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে সব সেবা দ্রুত প্রদান করা গেলে আমরাও চীন ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুরের মতো বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সেবা দিতে পারবো। আর এর জন্যই বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ইমপ্রুভমেন্ট (বিআইসিআই) এর অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংস্থার সদস্যদের মধ্যে আন্তঃসরকারি সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন আমাদের মনে রাখতে হবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশের ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ইমপ্রুভমেন্ট দেখেই বিনিয়োগ করতে আসেন। গত ১৫ বছরে যে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের এখন বিনিয়োগে প্রযুক্তির বেনিফিট নিতে হবে।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিডার নির্বাহী সদস্য ড. খন্দকার আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মার্কাস এহমান, টিম লিডার, প্রবৃদ্ধি প্রকল্প (লোকাল ইকোনোমিক ডেভোলপমেন্ট) সুইসকন্টাক, বিডার নির্বাহী সদস্য মিজ মোহসিনা ইয়াসমিন, অভিজিৎ চৌধুরী ও মো. খাইরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের টিম লিডার মার্কাস এহমান বলেন, বিডার সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় আমরা মিউনিসিপ্যালিটি কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্সকে (এমসিআই) এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। এই এমসিআই, বিআইসিআই প্রোগামের আওতায় অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে দেশব্যাপী স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নীতকরণের মাধ্যমে টেকসই স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনে সর্বোপরি পৌরসভাগুলোর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।