ভেনেজুয়েলায় একটি সোনার খনিতে ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। তবে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্ঘটনার সময় সেখানে ২০০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভেনেজুয়েলার মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ বলিভারের শহর লা প্যারাগুয়ার একটি উন্মুক্ত সোনার খনিতে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ১১ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শহরটির মেয়র ইয়োর্গি আরসিনিয়েগা।
স্থানীয় কর্মকর্তা ইয়োর্গি আরসিনিয়েগার বরাতে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মেয়রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেআইনিভাবে পরিচালিত ওই স্বর্ণের খনিটিতে মাটির দেয়াল ধসে পড়ার ঘটনায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে ভেনেজুয়েলার বেসামরিক নিরাপত্তা উপমন্ত্রী কার্লোস পেরেজ অ্যাম্পুয়েদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এই দুর্ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন এবং ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যাকে ‘বিশাল’ বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও তিনি নিহতের কোনও সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি উন্মুক্ত খনির অগভীর পানিতে কর্মরত লোকদের ওপর ধীরে ধীরে মাটির একটি প্রাচীর ভেঙে পড়ছে। অনেকেই ঘটনার সময় সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হলেও বেশ কয়েকজন তার নিচে চাপা পড়ে যান।
বলিভার প্রদেশের নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস বলেছেন, আহতদের আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামরিক বাহিনী, দমকল বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো আকাশপথে ওই এলাকায় যাচ্ছে। তিনি বলেন, অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য রাজধানী কারাকাস থেকেও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, স্বর্ণ, হীরা, লোহা, বক্সাইট, কোয়ার্টজ এবং কোল্টান সমৃদ্ধ অঞ্চল বলিভার। রাষ্ট্রীয় খনি ছাড়াও এ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি উন্মুক্ত খনিতে অবৈধভাবে এসব মূল্যবান ধাতু উত্তোলন চলে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে একই অঞ্চলের ইকাবারুর আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি খনি ধসে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।