পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ৩২৫ শেয়ার লেনদেন করেই বিক্রেতা সংকটে পড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটি ১৪৫ টাকা ৮০ পয়সা দরে লেনদেন শুরু করে। এদিন সাতবারে ৩২৫টি শেয়ার কেনাবেচা হয়। যার মূল্য ৪৭ হাজার টাকা। কিন্তু এর পরেই বিক্রেতা সংকটে পড়ে কোম্পানিটি।
বেলা ১২টা পর্যন্ত দেখা যায়, পেপার প্রসেসিংয়ের স্ক্রিনে ১৩৬-১৪৫ টাকা ৮০ পয়সা দরে কোম্পানিটির ৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৯০টি শেয়ারের আবেদন পড়ে। কিন্তু বিপরীতে কোন বিক্রেতাই শেয়ার বিক্রির আগ্রহ দেখাননি।
এদিকে মূলধন বাড়াতে মাগুরা পেপার মিলসের সাথে একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নেয় কাগজ ও মুদ্রণ খাতের এই কোম্পানি। গত ৩১ জানুয়ারি একীভূত হওয়ার পর থেকে গতকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ১৪ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২৭ শতাংশের বেশি।
মাগুরা পেপার মিলসের সাথে একীভূত হতে পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ার ২:১ অনুপাতে বিনিময় করা হয়। অর্থাৎ মাগুরা পেপার মিলসের ২টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার। দুই কোম্পানি একীভূত হওয়ার পর থেকেই কোম্পানির শেয়ারের দাম কমছে। গত ৩১ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর ছিলো ১৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। আর গতকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারটির দর কমে দাঁড়ায় ১৩২ টাকা ৬০ পয়সায়। অর্থাৎ মাত্র ১৪ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৫০ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
গতকাল ‘একত্রিকরণের পর পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ারদর কমেছে ২৭ শতাংশ’ শিরোনামে অর্থসংবাদে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৩ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে যায়। যা দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা (৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ) স্পর্শ করে। ফলে বিক্রেতা শূণ্য হয়ে পড়ে কোম্পানিটি।
অর্থসংবাদ/এমআই