সব ধরনের সিগারেট ও তামাকের ওপর ৭০ শতাংশ শুল্ক-করের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। সমিতি মনে করে, এটা করলে প্রায় ৬৬ শতাংশ ধূমপান কমে যাবে, সেইসঙ্গে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব আসবে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এসময় সমিতির সহ সভাপতি অধ্যাপক হান্নানা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনীতির সমিতির প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সব ধরনের সিগারেটের ওপর ৭০ শতাংশ হারে একক সম্পূরক শুল্ক আরোপ করলে সিগারেটের দাম বাড়বে গড়ে ১৩০ শতাংশ। ধূমপান কমবে ৬৬ শতাংশ। প্রায় ৭০ লাখ ধূমপায়ী সিগারেট সেবন ছেড়ে দেবেন আর প্রায় ৭১ লাখ তরুণ ধূমপান শুরু করা থেকে বিরত থাকবেন। সেইসঙ্গে সরকারের অতিরিক্ত কর রাজস্ব আহরণ হবে কমপক্ষে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অনুরূপভাবে ধোঁয়াবিহীন তামাক যেমন জর্দা, গুল, সাদাপাতা-আলাপাতাসহ সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের ওপর ৭০ শতাংশ হারে কর আরোপ করারও দাবি জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে বিড়ির ক্ষেত্রে প্রতি ২৫ শলাকার প্যাকেটের খুচরা মূল্যের ওপর ৪.৯০ টাকা হারে কর আরোপ করা হলে সরকারের অতিরিক্ত ৮০০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে। আর চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে বাজেটে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোট ২৭টি নতুন উৎসের তথ্য উপস্থাপন করে অর্থনীতি সমিতি।
এসময় আইনুল ইসলাম বলেন, আসন্ন বাজেটের জন্য সম্পদ আহরণের পদ্ধতি হিসেবে সরকারের রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক জনগোষ্ঠী, যেমন দরিদ্র-নিম্নবিত্ত-নিন্ম মধ্যবিত্ত- মধ্য মধ্যবিত্তদের ওপর কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। কারণ নানা কারণে এই শ্রেণির মানুষ এখন প্রচন্ড অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছেন। কর আহরণে নানা কৌশলে তাদের ওপর অতীতের মতো পুরোপুরি নির্ভর করা এ মুহূর্তে অন্যায় হবে। সেক্ষেত্রে অতিধনী, ধনী ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত– এই তিন গ্রুপের জন্য বাড়তি আয়কর আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।