রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেল মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট ও সেবামুখি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। রেলের সম্প্রসারণ এবং আধুনিকায়নের চেষ্টা চলছে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী শহরের ফতেমোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ে ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং শেড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমলে রেলের অনেক লোককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে চাকুরিচ্যুত করে জনবলের সংকট সৃষ্টি করা হয়, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত লোক নিয়োগ করে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, আমি কালকে পাবর্তীপুর, সৈয়দপুরে যে কথাগুলো বলেছি, তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। আপনারা তো সমাজের বিবেক। কথাগুলো যদি পজিটিভ ওয়েতে উপস্থাপন না করা হয়, সেক্ষেত্রে কিন্তু আমি মনে করবো, আপনারা সহযোগিতা করছেন না। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। কারণ, আপনারা, আমরাও বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা সবাই দেশের উন্নয়ন চাই। সেক্ষেত্রে নেগেটিভ নিউজ করে উন্নয়ন আশা করা যায় না।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল হাসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক পার্থ সরকার, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মমতাজুল ইসলাম, ঈশ্বরদী ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং সেডের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী (ইনচার্জ) মো. শাকের জামালসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
লোকোমোটিভ রানিং শেড পরিদর্শন করে মন্ত্রী পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সদর দপ্তরে বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই