বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দীর্ঘদিন ধরে দেশের ক্রিকেটের বেতন কাঠামোতে রাজত্ব করেছেন। এবার তার পাশে নাম বসালেন নতুন উঠতি তারকা। চলমান বেতন কাঠামোতে সাকিবের সমান বেতন পাবেন তিনি।
একটা সময় ক্রিকেটারদের সাধারণত চারটি শ্রেণিতে রেখে বেতনকাঠামো তৈরি করত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০১৬ সালেও সর্বোচ্চ ‘এ’ প্লাস শ্রেণিতে থাকা একজন ক্রিকেটার মাসে বেতন পেতেন আড়াই লাখ টাকা। ২০১৭ সালের মার্চ-এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরের সাফল্যের ভিত্তিতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সর্বোচ্চ শ্রেণিতে থাকা ক্রিকেটারদের মাসে বেতন দেড় লাখ বাড়িয়ে ৪ লাখ করে দেন। ২০২০ সালে সাদা ও লাল বলের ভিত্তিতে চুক্তি করে বিসিবি।
২০২১ সাল থেকে কেন্দ্রীয় চুক্তি হচ্ছে সংস্করণভেদে। তিন সংস্করণে আলাদা চুক্তির বেতনকাঠামোতে থাকছে বিশেষ অ্যাওয়ার্ডিং নীতি। সঙ্গে থাকছে ম্যাচ সংখ্যার ভিত্তিতে প্রণোদনা নীতি। আর অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের আলাদা প্রণোদনা তো আছেই।
লম্বা সময় তিন সংস্করণেই এ-প্লাস শ্রেণিতে থাকা সাকিব আল হাসানের দাপুটে অবস্থান বেতন কাঠামোতেও। বেতনে এ বছর তাঁকে স্পর্শ করেছেন তিন সংস্করণেই অধিনায়ক হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। উভয়ই ক্রিকেটার প্রণোদনা ছাড়া প্রতি মাসে বেতন পাবেন ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। একইসাথে তাদের প্রণোদনা ম্যাচ প্রতি লাখ টাকার বেশি।
বেতনের কাঠামোর দিক থেকে পরবর্তী স্থানেই আছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। টেস্ট এবং ওয়ানডে দলে চুক্তিভুক্ত এই ক্রিকেটার প্রতি মাসে বেতন পাবেন ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একইসাথে ম্যাচ প্রণোদনা ফি হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে পাবেন মুশফিকুর রহিম।
অর্থসংবাদ/এমআই