ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বসন্ত বরণ উৎসব পালন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা আরম্ভ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আমতলার বাংলা মঞ্চে এসে সমবেত হয়। এরপর নৃত্য, সঙ্গীত ও নাটক পরিবেশিত হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, কলা বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত সহযোগী অধ্যাপক ড. শামিম আহমেদ এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. বর্ণালী মৈত্র সহ অন্যান্য অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রেজুয়ান বলেন, বসন্তের আগমন আমাদের মনে অন্যরকম আনন্দের দোলা দিয়ে যায়। বসন্তের মধ্যদিয়ে আমরা যেনো জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করি। আপনারা সবাই জানেন ফুল ফোঁটে বনে-বাগানে তার শিহরণ লাগে আমাদের মনে।
এসময় অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাঙ্গালী, বাঙ্গালীত্ব ও বাংলা কৃষ্টি-কালচার সমুন্নত রাখা এবং নিজ দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার যত আচার, অনুষ্ঠান আছে তার মধ্যে অন্যতম এই বসন্ত উৎসব। এই সংস্কৃতি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ। আমার প্রত্যাশা থাকবে অনাগত দিন গুলোতে এই আয়োজন আরো প্রাণোচ্ছলভাবে, বৃহৎ আকারে আয়োজিত হবে এবং বাঙ্গালী সংস্কৃতি সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।
এসময় বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গাজী মো. মাহবুব মুর্শিদ বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে সকলের সহযোগিতায় নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আপনারা যারা এই আয়োজন গুছানোর জন্য সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, ‘নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগলো, বসন্তে সৌরভের শোভা জাগলো’ স্লোগানকে ধারণ করে আমতলার বাংলা মঞ্চে শুরু হয়েছে বসন্ত উৎসব। গাছে গাছে নতুন পাতা ফুটতেছে বেশ, সব পাখির মন খারাপ তাই শীত হলো শেষ। নতুন রুপে নতুন সাজে নিভাবে মনের আগুন, তাই তো আজ প্রকৃতি জুড়ে বসন্তের ফাল্গুন। ফুল ফোটার মধ্য দিয়েই আগমন ঘটেছে ঋতুরাজ বসন্তের। আজ ঋতুরাজ বসন্তের চতুর্থ দিনে মেতেছে ইবি পরিবার।