দেশের অর্থনীতিকে কৃষি নির্ভর উল্লেখ করে কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অর্জিত আয়ের ওপর ১২ শতাংশের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।
সংগঠনটি চিড়া উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে। পাশাপাশি কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকী ২০ শতাংশ আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বাপা।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব করে সংগঠনটি।
প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বাপার পক্ষে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (ট্যাক্স) মোল্লা আসেফ হোসেন বলেন, কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভবিষ্যতে অর্থনীতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অর্জিত আয়ের ওপর ১২ শতাংশের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ করা প্রয়োজন।
সংগঠনটির অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে কৃষি পণ্যের সরবরাহের বিপরীতে উৎসে কর কর্তন অব্যাহতি, অপরিশোধিত চিনি থেকে চিনির সিরাপ উৎপাদনে আয়কর অব্যাহতি, একই কোম্পানি আলাদা দুইটি বন্ডেড ইউনিটের মধ্যে প্রচ্ছন্ন রপ্তানির বিপরীতে উৎস কর কর্তন বাতিল করা, কৃষি শিল্পের উপকরণ আমদানির বিপরীতে অগ্রিম আয়কর কর্তন অব্যাহতি, কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অর্জিত আয়ের ওপর ৫০ শতাংশ কর অব্যাহতি।