দেশে শিগগিরিই গাজরের কোল্ড স্টোরেজ চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কৃষি, রাসায়নিক ও সেবা খাতের সাথে প্রাক বাজেট আলোচনায় এ তথ্য জানান তিনি।
বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এ সময় এনবিআরের আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট নীতির সদস্য, প্রথম সচিব ও দ্বিতীয় সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
ইশতিয়াক আহমেদ আরো বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় এ বছর থেকে আলুর পাশাপাশি গাজরের স্টোরেজের জন্য তিনটি নতুন চেম্বার দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হবে, যেটা শুধু গাজর সংরক্ষণ করবে। এই তিন স্টোরেজের মাধ্যমে ৩ হাজার মেট্রিক টন গাজর স্টোরেজ করা সম্ভব হবে। যেখানে ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত গাজর সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, দেশের কৃষকদের কাছ থেকে গাজর সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণ করা হবে। গত বছর ৩০ জুনের রেকর্ড অনুযায়ী সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত গাজর আমদানি করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশে উৎপাদন করা সম্ভব। আর এই স্টোরেজের উদ্যোগ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এনবিআর সহায়তা চান তিনি। এ জন্য তিনি আমদানিকৃত গাজরের ওপর ডিউটি বাড়িয়ে এক সেক্টরকে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব জানান তিনি। এই প্রকল্প সফল হলে আগামীতে গাজরের স্টোরেজের পরিমাণ আরো বাড়ানো হবেও বলে জানান তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান এই প্রস্তাবের বিষয়ে জানান, যেসব সবজি দেশে উৎপাদন হয় তা আমদানির ক্ষেত্রে আমরা শুল্ক হার বাড়িয়েছি। দরকার হলে গাজর আমদানিতে আমরা আরো শুল্ক বাড়াব। এনবিআর পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়ার কথা জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান। এর মাধ্যমে গাজরের আমদানি যদি বন্ধ হয় এবং এর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এনবিআর সহায়তা দেবে বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদ/এমআই