ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

রপ্তানি আয় শিগগিরই চার হাজার কোটি ডলার বাড়বে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

২০৩০ সালের মধ্যে দেশের রপ্তানি আয় অতিরিক্ত চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। একইসাথে আরও এক কোটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে জানান তিনি।

আজ বুধবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ত্রৈমাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আহসানুল ইসলাম। রাজধানীর মতিঝিলে এমসিসিআই কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ১০০টি সরকারি ও বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকোনমিক জোন) স্থাপনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই অঞ্চলগুলোয় বিনিয়োগকারীদের জন্য কর, ভ্যাট এবং শুল্ক ছাড়ের মত বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে নতুন এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে অতিরিক্ত চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে।

তিনি জানান, বর্তমান সময়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে শিল্পখাতের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রমে ব্যবসায়ীরা কিছুটা সমস্যার মধ্যে পড়ছেন, বিষয়টি সমাধানে সরকার কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই এর থেকে উত্তরণ ঘটবে।

আহসানুল ইসলাম বলেন, ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে তৈরী পোশাক রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ছিল, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সেই রপ্তানি আয় ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ট্র্যাডিশনাল আইটেমের পাশাপাশি নন-ট্র্যাডিশনাল আইটেমের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে দৃশ্যমান এসব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাজার বহুমুখীকরণেও সরকার খুবই আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। সরকারের বিশেষ উদ্যোগে পৃথিবীর সেরা ফ্যাক্টরিগুলো (গ্রীন ফ্যাক্টরি) অধিক সংখ্যায় এখন বাংলাদেশে অবস্থিত। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পাশাপাশি ঔষুধ, আবাসন, জাহাজ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য শিল্পের প্রসার ঘটেছে। রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যোগ হয়েছে জাহাজ, ঔষুধ এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী। এছাড়াও বাংলাদেশের আইটি শিল্প বহির্বিশ্বে সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছে।

সভায় এমসিসিআইর সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, দেশের বাজারে পণ্যমূল্য নির্ভর করে থাকে যোগান ও চাহিদার ভিত্তিতে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। এই ব্যাপারে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে খোলাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নিম্ন আয়ের মানুষ স্বস্তি পেতে পারে। এছাড়া সরকার আমদানিনির্ভর পণ্যগুলোতে শুল্ক কমালে আমদানি ব্যয় কমবে। তাহলে হয়তো কিছুটা স্বস্তিদায়ক মূল্যে পণ্যগুলো বাজারে পাওয়া যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও এমসিসিআই সহসভাপতি সিমিন রহমান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফিন্যান্স) ও এমসিসিআই পরিচালক উজমা চৌধুরী প্রমুখ।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার