ক্যাটাগরি: শিল্প-বাণিজ্য

বাণিজ্য সম্প্রসারণে একত্রে কাজ করবে এফবিসিসিআই ও সিডাব্লিউইআইসি

বাংলাদেশ ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে যৌথভাবে কাজ করবে দি ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডাব্লিউইআইসি)। এক্ষেত্রে আফ্রিকাসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি পণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণে সিডাব্লিউইআইসি’র সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআই।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিডাব্লিউইআইসির চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ডের সম্মানে আয়োজিত এক প্রীতি নৈশভোজে সিডাব্লিউইআইসির প্রতি এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, শিল্পের বহুমুখীকরণ, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এই মাইলফলক ২০৪১ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হওয়ার জন্য ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে আমরা সঠিক পথে আছি বলে আমি মনে করি।

মাহবুবুল আলম আরও বলেন, কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা এবং কমনওয়েলথ বিজনেস ফোরামে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ব্যবসা খাত, জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনা তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশী পণ্যের দ্বার উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে সিডাব্লিউইআইসি। বিশেষ করে টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষিতে আমাদের শক্তি তুলে ধরতে সিডাব্লিউইআইসির সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই।

তিনি মনে করেন, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং উদ্ভাবন, আইটি, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল এবং এসএমই খাতসহ নানা ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উভয় প্রতিষ্ঠান একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারবে।

কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের (সিডব্লিউইআইসি) চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে এর ভূঁয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, সবাই বলছে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ রূপান্তরিত হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা দেখে আমি বলতে পারি নির্দিষ্ট সময়ের ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০৩১ সালের মধ্যে দেশটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরিত হবে।

কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য জোরদার ও সম্ভাবনাময় খাতগুলো নিয়ে এফবিসিসিআই এর সাথে সিডাব্লিউইআইসি কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, শমী কায়সার, মো. মুনির হোসেন। এছাড়া কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই, এফবিসিসিআই পরিচালক সুজীব রঞ্জন দাশ, মহাসচিব মো. আলমগীর এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার