ক্যাটাগরি: সারাদেশ

ভাইয়া এপারেলসের নির্বাহী পরিচালকের ওপর হামলা, আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা

চাঁদা না দেয়ায় কুমিল্লায় ভাইয়া এপারেলসের কর্মকর্তার উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় এ হামলা চালানো হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক সোহেল আহম্মেদ আহত হয়েছে।

জানা গেছে, ওইদিন রাতে কুমিল্লা জিলা স্কুলের পাশে ভাইয়া এ্যাপারেলস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সোহেল আহম্মেদের উপর সাত-আট জন চাঁদাবাজ অতর্কিত আক্রমণ করে তাকে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।

ভাইয়া গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জানান, সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্যে পরিণত হয়েছে কুমিল্লা ইপিজেড এলাকা। চাঁদাবাজি, লোকাল সরবরাহকারীদের কাছ থেকে নিম্নমানের পণ্য ক্রয় করা, ইপিজেডে নির্মাণ সামগ্রী প্রবেশ পথে গাড়ি আটকে রাখাই যেন এখানকার স্বাভাবিক ব্যাপার। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী ও কর্মচারীদের যানমাল নিয়ে সার্বক্ষনিক আতংকিত থাকে।

ইতিপূর্বে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবিতে কুমিল্লা ইপিজেডে ভাইয়া এ্যাপারেলস লিমিটেডের ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল।
স্থানীয় লোকজন জানায়, এ ঘটনার সাথে কুমিল্লা ইপিজেড কেন্দ্রিক স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী কাউসার ও বাবুগং জড়িত থাকতে পারে। এ সন্ত্রাসীচক্র এরমধ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদার দাবিতে হুমকি প্রদান করেন।

শাখাওয়াত হোসেন জানান, এভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলতে থাকলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এদেশে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহী হয়ে পড়বে এবং সরকার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে ভাইয়া এ্যাপারেলস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কুমিল্লা ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বন্ধ করে দেয়, এর পর সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল আহম্মেদের উপর হামলা করে বলে ধারনা করা হচ্ছে। হামলা শেষে সন্ত্রাসীরা সোহেল আহম্মেদকে বলে “তুই যদি কখনো ইপিজেড মুখি হস তাহলে তোর লাশ পড়বে”। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে মারাত্মকভাবে জখম করে তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভাইয়া এ্যাপারেলস লিমিটেড’র কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে ইপিজেডের কার্যক্রম পরিচালনা করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারা যানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপসহ ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

কুমিল্লা কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার