রাজধানীর গোপীবাগে গত ৫ জানুয়ারি রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ এলিনা ইয়াসমিনের (৪০) মরদেহ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত এলিনা ইয়াসমিন রাজবাড়ী পৌরসভার নুরপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এলিনা ইয়াসমিনের চাচা নজরুল ইসলাম।
নজরুল ইসলাম বলেন, গত ৫ জানুয়ারি রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় দগ্ধ এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ টেলিফোনে আমাদেরকে জানিয়েছেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। মরদেহ হস্তান্তর করা হলে পরবর্তীতে জানাজার নামাজের সময় ও স্থান জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, এলিনা তার বাবার কুলখানি শেষ করে ৬ মাসের শিশু সন্তান, বোন ডেইজি আক্তার রত্না, বোন জামাই ইকবাল বাহার ও তাদের দুই সন্তানসহ বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘চ’ বগিতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। মাঝে একবার তাদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কিন্তু রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোপীবাগ এলাকায় ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল এলিনা।
প্রসঙ্গত,বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলিনা ইয়াসমিন সহ রাজবাড়ীর আরও দুইজন নিখোঁজ হয়। তারা হলেন- চন্দ্রিমা চৌধুরী ওরফে সৌমি (২৮) ও আবু তালহা(২৮)। চন্দ্রিমা ও আবু তালহার মরদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি।