নতুন নদীপথ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ সংযোগের অংশ। এটা দুই দেশের সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতি একটি দৃশ্যমান প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
আজ সোমবার সুলতানগঞ্জ (বাংলাদেশ) থেকে মাইয়া (ভারত) পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজের ফ্ল্যাগিং-অব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সুলতানগঞ্জ, গোদাগাড়ী পোর্ট অব কলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
ভারতীয় হাইকমিশনার তার বক্তব্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রকৃত সম্ভাবনা উন্মোচনে মাল্টিমোডাল সংযোগের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। মাইয়া-সুলতানগঞ্জ নদী রুট পুনরায় চালু এর একটি পদক্ষেপ হিসেবে অবহিত করেন যা শুধু সীমান্তের দুই পাশের স্থানীয় অর্থনীতির জন্যই উপকৃত হবে না বরং জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং একীকরণ ও জোরদার করবে।
হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, ভারত আজ এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য। তিনি আশা করেন যে, উন্নত যোগাযোগ সংযোগ এবং ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্যের মতো নতুন পদক্ষেপ ভারতে বাংলাদেশি রপ্তানিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। হাইকমিশনার অন্যান্য ভবিষ্যৎ আসন্ন উদ্যোগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্টের চুক্তির বিষয়ে উল্লেখ করেন, যার আলোচনা শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে।
ইন্দো বাংলাদেশ প্রোটোকল রুট ৫ এবং ৬-এর পোর্ট অব কলের আওতায়, সুলতানগঞ্জ-গোদাগাড়ী পোর্ট অব কলের উদ্বোধন এবং সুলতানগঞ্জ (বাংলাদেশ) থেকে মাইয়া (ভারত) পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজের ফ্ল্যাগিং-অব, ভারতের মাইয়া বন্দর এবং সুলতানগঞ্জ, গোদাগাড়ী বন্দরের মধ্যে পাঁচটি পণ্যবাহী জাহাজের পরীক্ষামূলক চলাচলের প্রথম উদ্যোগ। এই আইবিপি রুটের মাধ্যমে কার্গো চলাচলের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, যা উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ জলপথের ইকোসিস্টেমকে নতুন গতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাফি