অর্থপাচার কমাতে ও সরকারের রাজস্ব বাড়াতে আগামী দশ বছরের জন্য বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সভায় রিহ্যাবের প্রশাসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, অর্থপাচার কমাতে ও সরকারের রাজস্ব বাড়াতে কোনো ধরনের প্রশ্ন না করা সংক্রান্ত আগের যে সুবিধাটি ছিল, তা বহাল করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আবাসন ক্রেতাদের ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন না করারও আহ্বান থাকবে।
বিদেশে অনেকেই সেকেন্ড হোম করছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রচুর অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। ওইসব দেশের ফ্ল্যাট অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের অর্থের উৎসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় না। অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে ভবিষ্যতে ওই সব বিনিয়োগকারী করের আওতায় চলে আসবে, যা সরকারের রাজস্ব বাড়াতে সহায়তা করবে। এসময় তিনি ফ্ল্যাট ও প্লট রেজিস্ট্রেশনে বিদ্যমান ফি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাত শতাংশ নামানোসহ ৮টি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
আর সরবরাহ বিক্রয়ের ওপর উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ রেডিমেইড মিক্স কনক্রিট অ্যাসোসিয়েশন, সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকারে কাস্টমস ডিউটি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশে সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসেসিয়েশন।
অন্যদিকে পরিবেশদূষণ রোধ ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে পরিবেশ সারচার্জ বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিস অব বাংলাদেশ।
পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর অব্যাহতি নীতিমালা প্রণয়ন, রিটার্ন প্রদান সহজীকরণে মোবাইল অ্যাপ প্রস্তুত বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, নির্মাণ শিল্পের উন্নয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাজ করছে। সংগঠনগুলোর প্রস্তাবগুলো আমরা আমলে নেব। রাষ্ট্র ও শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় আমরা আপনাদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় রাখা হবে।