শক্তিশালী সরবরাহ ও প্রতিযোগিতামূলক দামের কারণে ২০২২-২৩ মৌসুমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে থাইল্যান্ডের চাল রফতানি। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের (এফএএস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এতে জানানো হয়, ২০২২-২৩ মৌসুমে থাইল্যান্ড ৮৮ লাখ টন চাল বিভিন্ন দেশে রফতানি করে। ২০২১-২২ মৌসুমের তুলনায় রফতানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ। তবে ২০২৩-২৪ মৌসুমে রফতানি ৮০ লাখ টনে নেমে আসতে পারে। কারণ ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় রফতানিযোগ্য চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।
এফএএসের পূর্বাভাস মতে, ২০২৩-২৪ মৌসুমের থাইল্যান্ডে ১ কোটি ৯৯ লাখ টন চাল উৎপাদন হতে পারে। ২০২২-২৩ মৌসুমের তুলনায় উৎপাদন ৫ শতাংশ কমার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যাজনিত ক্ষয়ক্ষতি ও শুষ্ক আবহাওয়া উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ভারত চালের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করার পরই থাই চালের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় চাহিদা লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। থাইল্যান্ড প্রতি বছর সাধারণত প্রায় দুই কোটি টন চাল উৎপাদন করে। এর মধ্যে অর্ধেক স্থানীয়ভাবে ব্যবহার করা হয়। বাকি অর্ধেক রফতানি করা হয়।