পাকিস্তানে নির্বাচনের ফলাফল ইস্যুতে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দেশটি জুড়ে বিক্ষোভ-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় এই আইন জারি করা হয়। খবর আলজাজিরার।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের এক পোস্টে ইসলামাবাদ পুলিশ বলেছে, কিছু মানুষ নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সরকারি অফিসের সামনে উসকানিমূলক জমায়েত করছে। পরিষ্কারভাবে বলা হচ্ছে, গণজমায়েতের জন্য উসকানি দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ।
রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলে পুরো পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। যদিও প্রথমে পিটিআই তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন শহরে জড়ো হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দলটি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হওয়ার বদলে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করে রাখার কর্মসূচি দেয় তারা।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হয়েছে। ভোটগ্রহণের তিন দিন পর ২৬৫ আসনের মধ্যে অবশেষে ২৬৪ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়। আর অন্য একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন ৭৬ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ছোট দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।
অর্থসংবাদ/এমআই