মিয়ানমার জান্তা সরকার সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করেছে। এখন থেকে দেশটির ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি পুরুষ ও ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সি নারীদের বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে দুই বছর কাজ করতে হবে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জান্তা সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে।
জান্তা মুখপাত্র জ মিন তুন রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব শুধু সেনাদের মধ্যে সীমিত না রেখে তা সব নাগরিকের মধ্যে বিস্তৃত করে দিতে হবে। তাই আমি সবাই বলতে চাই, তাঁরা যেন গর্বের সঙ্গে জনগণের সামরিক সেবা আইন অনুসরণ করে।
নিয়মিত সেনা সদস্যের বাহিরে সামরিক বাহিনীতে চিকিৎসক ও বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের যোগদানও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসব যোগ্যতাসম্পন্ন ৪৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে তিন বছর থাকতে হবে। চলমান রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় এ নিয়োগ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
সেনাবাহিনীতে নিয়োগ বাধ্যতামূলক করে ২০১০ সালে ‘জনগণের সামরিক সেবা আইন’ নামের একটি আইন করে মিয়ানমার। এবারই তা প্রথমবারের মতো কার্যকর করা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী, আদেশ দেওয়ার পর কেউ সেনাবাহিনীতে যোগ না দিলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সম্প্রতি জান্তার প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও সেনাবাহিনী রাজ্যে রাজ্যে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। দিকে দিকে সামরিক ঘাঁটি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা হারাচ্ছে জান্তা সরকার। এ অবস্থায় শনিবার সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হলো।
অর্থসংবাদ/এমআই