চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ফেব্রুয়ারির পয়লা সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়েছে এক কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত নির্বাচিত সাপ্তাহিক অর্থনৈতিক সূচকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এ হিসাব ৮ ফেব্রুয়ারির।
তথ্য বলছে, দেশে হালনাগাদ নিট রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৯৫ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম ৬) বা ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ বা গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫০৮ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার।
গত ১ ফেব্রুয়ারি নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৯৪ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম৬) বা ১৯ দশমিক ৯৪ মার্কিন ডলার। একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ বা গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫০৯ কোটি ১১ লাখ হাজার মার্কিন ডলার।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিট রিজার্ভ বাড়লো এক কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে রিজার্ভ ১৯ বিলিয়নে নামে। এরপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণের ডলার যোগ হলে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এরপর এশীয় ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল ও অন্যান্য আমদানি দায় পরিশোধ করলে রিজার্ভ কমতে থাকে। সর্বশেষ রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এলো।
২০২১ সালের আগস্টে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়নের ঘর ছাড়িয়েছিল। এরপর রিজার্ভ থেকে ২৯ বিলিয়ন ডলারের মতো বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিক্রির ফলে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে।
ডলারের সংকটের কারণে বাড়তি চাপ তৈরি হয় রিজার্ভে। ২০২১ সাল নাগাদ আমদানির জন্য প্রতি ডলার ৮৫-৮৬ টাকায় পাওয়া যেত। এখন প্রতি ডলারের জন্য ১২২-১২৫ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। এরপরও কাঙ্ক্ষিত ডলার না পেয়ে অনেকে সময় মত এলসি খুলতে পারছে না।