গতবছর বিশ্বব্যাপী ১৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। এ সময় আগের বছরের তুলনায় উৎপাদন প্রায় অপরিবর্তিতই ছিল। বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক ও ব্যবহারকারী চীন। দেশটির অর্থনীতিতে শ্লথগতির কারণে ওই বছর ইস্পাত উৎপাদনে কোনো প্রবৃদ্ধি আসেনি। অন্য শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে জাপান, জার্মানি, তুরস্ক ও ব্রাজিলের উৎপাদন ছিল নিম্নমুখী।
তবে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায় উৎপাদন বেড়েছে। ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেয়ার পর চীনের অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত গতি আসেনি। দেশটিতে গত বছর শিল্প উৎপাদন খাতও ছিল মন্দায়। প্রপার্টি খাতে চলমান অস্থিরতা অর্থনীতিকে আরো কোণঠাসা করে তুলেছে। ফলে গত বছরজুড়ে দেশটিতে ইস্পাতের চাহিদা ছিল দুর্বল।
চলতি বছরও ধাতুটির উৎপাদন নিম্নমুখী প্রবণতায় থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য পূরণে বেইজিং ইস্পাত উৎপাদনে কড়াকড়ি আরোপ করতে পারে। ফলে ধাতুটি উৎপাদনে ব্যবহৃত অন্যতম উপকরণ আকরিক লোহার আমদানিও উল্লেখযোগ্য হারে কমার আশঙ্কা রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালে চীনে ১০১ কোটি ৯১ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। আগের বছরও একই পরিমাণ উৎপাদন হয়েছিল। তবে দেশটিতে বছরের শেষ মাসে উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৬ কোটি ৭৪ লাখ টনে নেমেছে।
বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক হচ্ছে জাপান। আন্তর্জাতিক বাজারে চিপের তীব্র সংকটের কারণে দেশটিতে গত বছর গাড়ি উৎপাদন শিল্প বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। বিশেষ করে বছরের প্রথমার্ধে উৎপাদন লক্ষণীয় মাত্রায় কমে যায়। ফলে এ খাতে ইস্পাতের চাহিদায়ও ধস নামে। এ কারণেই দেশটিতে ওই বছর ধাতুটির উৎপাদন ছিল নিম্নমুখী।
কাফি