জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘কেউই রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী নয়। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান থাকবে।’
আজ শুক্রবার ঢাকায় এফডিসিতে ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজক ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
পণ্যের শুল্ক প্রসঙ্গে ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘রমজান মাসের চাহিদা বিবেচনায় এরই মধ্যে কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে এর সুফল পেতে কিছুটা সময় লাগবে।’
পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক ও করে ছাড় দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এসব পণ্যে ১০ শতাংশ থেকে ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক–কর কমানো হয়েছে। এনবিআরের প্রজ্ঞাপন তাৎক্ষণিক কার্যকর হয়েছে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বাজার মনিটরিংয়ের বিরুদ্ধে কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপ নেই। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয়ও সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।’
এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাণিজ্য কূটনীতিকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাংলাদেশ কোনোভাবেই শ্রীলঙ্কা বা ভেনিজুয়েলা হবে না। বর্তমানে বিশ্বে ৩৮তম বৃহত্তম অর্ধনীতির দেশ বাংলাদেশ। মানুষের কষ্ট লাগবে সরকার বাজার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ত্ব দিচ্ছে। এরই মধ্যে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হয়েছে, যা পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করবে। কেউই রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী নয়। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান থাকবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ কীভাবে জীবন ধারণ করছে, তা কল্পনা করা যায় না। সাধারণ মানুষের সঞ্চয় তলানিতে নেমে দাঁড়িয়েছে। ধার কর্জ করে ঋণ নিয়ে চলছে। মানুষ কষ্টে আছে। মধ্যবিত্তরা দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে নীরব যন্ত্রণায় ভুগছে। ব্যবসায়ীরা এখন কম লাভে সন্তুষ্টি পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা ও অতিলোভ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। বাজার সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্যকে উসকে দিচ্ছে।’
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে প্রাইম ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, উন্নয়ন বিশ্লেষক সাজিদ রায়হান, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক সেলিম মালিক ও সাংবাদিক মো. গোলাম ময়নুল আহসান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি ও সনদপত্র তুলে ধরা হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই