বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না দলটির। চরম নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো তারা। তাতে সিলেটের তৃতীয় জয়ের দিনে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ নিলো খুলনা টাইগার্স।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান তুলে খুলনা। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে সিলেট।
আসরে টিকে থাকতে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই উইকেট হারায় বন্দরনগরীর দলটি। ১৩ রানে ফেরেন ওপেনার সামিত প্যাটেল।
এরপর দ্রুতই ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। এই দুই ব্যাটার ফেরার পর হ্যারি টেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তবে খানিকটা আগ্রাসী ইঙ্গিত দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মিঠুনও। মার্ক দেয়ালের বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ২৪ রানের এক ইনিংস।
দলপতি ফিরলেও জয়ের আশা ঠিকই জিইয়ে রাখেন টেক্টর। নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে দলের জয়ের পথ আরও সহজ করেন আইরিশ এই ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ বলে ৬১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর বাকি কাজটা সারেন রায়ান বার্ল। তার ১৬ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট।
এর আগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৯ রানেই ধাক্কা খায় খুলনা। ১০ বলে ১২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার লুইস। এরপর তিনে নেমে দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে দলীয় ৫০ পার হওয়ার পরই ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৩ বাউন্ডারিতে ১৬ বলে খেলেন ২৪ রানের কার্যকরী এক ইনিংস।
চারে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়ও। ৬ বলে ১ রানে টপ-অর্ডার এই ব্যাটার ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে খুলনা। সেখানে একপ্রান্ত আগলে রেখে চাপ সামাল দেন দলপতি বিজয়। দলপতির সঙ্গে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন তরুণ সোহান। সাবধানী ব্যাটিংয়ে দ্রুতই চলতি আসরের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন বিজয়। অর্ধশতক হাঁকালেও কিছুটা ধীরগতির ইনিংস সাজান তিনি।
তবে খুলনার সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেন সোহান। উইকেটে খানিকটা থিতু হয়েই বেনি হাওয়েলের এক ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকান হাবিবুর। তানজিমের করা পরের ওভারে আরও দুটি বাউন্ডারির মালিক বনে যান তিনি।
শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ৯৯ রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে খুলনা। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ বলে বিজয় ৬৭ এবং ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩০ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান।
সিলেটের হয়ে সামিত প্যাটেল, সানজামুল ইসলাম ও বেনি হাওয়েল একটি করে উইকেট শিকার করেন।
অর্থসংবাদ/এমআই