ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

বিশ্বব্যাপী রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস

বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের উৎপাদন রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও)। সরবরাহ ও চাহিদা শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে খাদ্যশস্যের উৎপাদন পূর্বাভাস সংশোধন করেছে এফএও। আগের পূর্বাভাসের তুলনায় দানাদার শস্য উৎপাদনের পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ টন বাড়িয়ে ধরা হয়েছে। সে হিসাবে চলতি মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ১৫৩ কোটি ২০ লাখ টন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৮৩ কোটি ৬০ লাখ টনে, যা আগের পূর্বাভাসের তুলনায় ১ কোটি ৩২ লাখ টন এবং গত মৌসুমের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।

দানাদার খাদ্যশস্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হতে পারে ভুট্টা। উৎপাদন প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রাখবে কানাডা, চীন, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র। এসব দেশে আবাদ, ফলন ও ফসল সংগ্রহে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বৈশ্বিক সরবরাহ খাতে আশা জাগাচ্ছে।

এদিকে আলাদাভাবে গমের উৎপাদন পূর্বাভাসও বাড়িয়েছে এফএও। মোট উৎপাদনের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৭৮ কোটি ৮৫ লাখ টন, যা আগের পূর্বাভাসের তুলনায় ১৪ লাখ টন বেশি। তবে ২০২২-২৩ মৌসুমের তুলনায় শস্যটির উৎপাদন ২ দশমিক ২ শতাংশ কমার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক ব্যবহার দাঁড়াতে পারে ২৮২ কোটি ২০ লাখ টনে। আগের মৌসুমের তুলনায় ব্যবহার ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ববর্তী পূর্বাভাসের তুলনায় বাড়তে পারে ৮৯ লাখ টন।

সংস্থাটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, পশুখাদ্য উৎপাদন খাত খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক ব্যবহার বাড়াতে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে এ খাতে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্যের চাহিদা তৈরি হতে পারে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার