১৯৮৫ সালে চাঁদপুর-চট্টগ্রামে রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তনগর ট্রেন চালু হয়। কিন্তু চালু হওয়ার পর থেকে একই রেক (কোচ) দিয়ে ট্রেনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রেন চলাচলে অনেক আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। তবে সেই আধিুনকতার ছোঁয়া লাগেনি মেঘনা একপ্রেস ট্রেনে। অথচ এটি অন্যতম একটি লাভজনক রূট।
এসব বিষয়কে সামনে রেখে মেঘনা একপ্রেস ট্রেনকে আধুনিকায়ন এবং ট্রেনিটির গন্তব্যস্থল চট্টগাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত করার আবেদন করে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম। আবেদনের সাথে একমত পোষণ করেন নতুন দায়িত্ব পাওয়া রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
বুধবার (৭ ফ্রেব্রুয়ারি) রেলের পরিচালক (ট্রাফিক কন্ট্রোল) মো. মিজানুর রহমান জানান ফোরামের আবেদন রেলমন্ত্রণালয় গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। মেঘনা ট্রেনের পুরোনো রেক পরিবর্তন করে অবমুক্ত হওয়া অন্য রেক সংযোজন করা হবে। এবং খুব শিগগিরই মেঘনা ট্রেনের কক্সবাজার পর্যন্ত রূট বর্ধিত করা হবে। এছাড়া চাঁদপুর-চট্ট্রগাম রূটের যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে আরও একজোড়া আন্তনগর ট্রেন দেয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিচেনা করা হবে।
রেল মন্ত্রণালয় থেকে ফোন করে এই অগ্রগ্রতির কথা ফোরামের সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করা হয়। মন্ত্রণালয় জানায়, মন্ত্রণলায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টি ফোরামের চিঠির কপিসহ পূর্বাঞ্চল রেলওয়েকে অবহিত করা হবে। এরপর দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এই বিষয়ে ফোরামের সভাপতি এবং দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর মিজান মালিক বলেন, গঠনের পর থেকে ফোরাম চাঁদপুরবাসী এবং চাঁদপুরের মানুষের পাশে থেকেছে। মেঘনা ট্রেনের বিষয়টিও তেমনই একটি উদ্যোগ। চাঁদপুরের মানুষের দূর্দশা লাঘবে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং স্বদেশ বাংলার সম্পাদক একেএম রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ফোরাম এই পর্যন্ত অনেকগুলো এই ধরনের জনবান্ধব উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় সবগুলো উদ্যোগই সফল হয়েছে। যে দু-একটি বিষয় বাকী আছে সেসবও সফলতা আসবে। সম্মিলিত প্রচষ্টো এবং সেসব যদি জনকল্যাণে হয় তা কখনো বিফলে যায় না বলেও তিনি মনে করেন। মেঘনা ট্রেনের বিষয়টি ফোরামের জন্য একটি উজ্জ্বল মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, চাঁদপুরের নানান সমস্যা সমাধানে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম কাজ করছে। বিশেষ করে অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়ায় সহযোগিতা, ব্রিজ-কালভার্ট সংস্কারে সহায়তা, স্কুল নির্মানে সহায়তা করেছে এই ফোরাম। চাঁদপুর সেতুর টোল প্রত্যাহার বিষয়ে ফোরাম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানা গেছে।