শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষার্থীর কর্মজীবনে প্রবেশিকার বিষয়টা সারা পৃথিবীতেই পরিবর্তন হচ্ছে। পৃথিবীর যত প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা আছেন, তারা অনেকেই সনদ দেখতে চান না। তারা দেখতে চান সক্ষমতা। কাজটা করার সক্ষমতা তার আছে কি না? সেটাই দেখতে চাওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, কাজের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে। কাজের নতুন নতুন সুযোগও তৈরি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ রাখলে চলবে না। সামাজিক অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে কাজ করার যে দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে তা নিয়ে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী অডিটোরিয়ামে জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে শিক্ষায় পদ্মা সেতুর চেয়ে বড় মেগা প্রকল্প হাতে নিতে হবে। আর সে প্রকল্প শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য নয়; আমাদের শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়ন করতে হবে, শিক্ষার্থীদের উপকারের জন্য। কারণ শিক্ষকদের দক্ষতা, মান, অভিজ্ঞতায় যদি আমরা বিনিয়োগ করি, তাহলে শিক্ষার্থীরা বেশি উপকৃত হবে। আর শিক্ষার্থীরা উপকৃত হলে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন ও অঙ্গীকার করেছেন, তা বির্নিমাণ সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নত বিশ্বে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি রেস্টুরেন্টে গিয়ে কাজ করে। কাজের পাশাপাশি শিক্ষা গ্রহণ করে। আবার অনেকে একাডেমিক শিক্ষায় ‘গ্যাপ’ দিয়ে দক্ষতা অর্জনে বিভিন্ন কাজ করে। আমাদের শিক্ষার্থীদের সেই ধরনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের শিখতে শেখাতে হবে।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুর রহমান বাদশা। এ ছাড়া স্বাগত বক্তব্য দেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. অলীউল আলমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষকরা শিক্ষকদের চাকরির জাতীয়করণ, মাধ্যমিক স্তরে আইসিটি শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান পদ সৃষ্টি, বেতন ও ভাতার সমস্যা দূরীকরণ, ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধিসহ নানা দাবি তুলে ধরেন।