ক্যাটাগরি: পুঁজিবাজার

ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকছে যেসব কোম্পানির শেয়ারে

আরও তিন কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নিলো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে ৯টি প্রতিষ্ঠানে এটি বহাল থাকছে। মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের সই করা এক আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে এখন ফ্লোর প্রাইস আরোপ রয়েছে মাত্র ৯টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর। সেখানে তিন কোম্পানির ফ্লোরপ্রাইস আবার তাদের নিজ নিজ রেকর্ড ডেটের পরে তুলে দেওয়া হবে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া কোম্পানি তিনটি হলো- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, রেনাটা ও ওরিয়ন ফার্মা। কোম্পানি তিনটির শেয়ারের উপর আগামীকাল বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকেই ফ্লোরপ্রাইস থাকবে না।

অন্যদিকে, তিনটি কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকলেও তাদের পরবর্তী রেকর্ড তারিখের পর তা প্রত্যাহার হবে। এই শ্রেণিভুক্ত তিনটি কোম্পানি হলো- ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বা বিএটিবিসি, গ্রামীণফোন এবং রবি আজিয়াটা।

ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকা ৬ প্রতিষ্ঠান হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ার লিমিটেড। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ ৬টি কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস জারি থাকবে।

ফ্লোর প্রাইস ছিল এমন একটা ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়েছিল। এর ফলে কোনো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের বেঁধে দেওয়া দামের নিচে নামার সুযোগ ছিল না।

শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছিল। তবে ফ্লোর প্রাইসের কারণে পুঁজিবাজারের লেনদেনেও অনেকটা ভাটা পড়ে। ফলে বাজারের গতি ফেরাতে বিশ্লেষকরা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫ কোম্পানি ছাড়া বাকি সব কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। পরবর্তীতে গত ২২ জানুয়ারি আরও ২৩ কোম্পানি কমিয়ে মাত্র ১২ কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আজ আরও তিন কোম্পানি থেকে ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ। আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৪৮ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন এক হাজার ৬৫১ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২৩ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট, ডিএস৩০ সূচক ১০ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৮ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়েছে।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার