শেয়ারবাজারের লেনদেনে গতি ফিরে আসায় আরও ৩টি কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি হলো- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ওরিয়ন ফার্মা এবং রেনেটা লিমিটেড।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে এখন ফ্লোর প্রাইস আরোপ রয়েছে মাত্র ৯টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর। সেখানে তিন কোম্পানির ফ্লোরপ্রাইস আবার তাদের রেকর্ড তারিখের পরে তুলে দেওয়া হবে।
বিএসইসি জানায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ৬টি কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস জারি থাকবে। কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ার লিমিটেড।
বাকি তিনটি কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকলেও তাদের পরবর্তী রেকর্ড তারিখের পর তা প্রত্যাহার হবে। এই শ্রেণিভুক্ত তিনটি কোম্পানি হলো- ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বা বিএটিবিসি, গ্রামীণফোন এবং রবি।
তবে যেসব কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার তথা এক দিনে মূল্যবৃদ্ধি বা কমার সীমা আরোপ থাকবে। অর্থাৎ এক দিনে এসব কোম্পানির দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে বা বাড়তে পারবে। ২০২১ সালের ১৭ জুন তথা ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা চালুর আগে থেকেই শেয়ারবাজারে সার্কিট ব্রেকারের এ সীমা চালু রয়েছে।
ফ্লোর প্রাইস ছিল এমন একটা ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়েছিল। এর ফলে কোনো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের বেঁধে দেওয়া দামের নিচে নামার সুযোগ ছিল না।
শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছিল। তবে ফ্লোর প্রাইসের কারণে পুঁজিবাজারের লেনদেনেও অনেকটা ভাটা পড়ে। ফলে বাজারের গতি ফেরাতে বিশ্লেষকরা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫ কোম্পানি ছাড়া বাকি সব কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। পরবর্তীতে গত ২২ জানুয়ারি আরও ২৩ কোম্পানি কমিয়ে মাত্র ১২ কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আজ আরও তিন কোম্পানি থেকে ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ। আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৪৮ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন এক হাজার ৬৫১ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২৩ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট, ডিএস৩০ সূচক ১০ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৮ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই