বিগত অর্থবছরে অর্ধবার্ষিকী হিসেবের সময় ০.৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ প্রদান করায় জেড গ্রুপে যাচ্ছে না পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড। বর্তমান ‘বি’ গ্রুপে গ্রুপেই থাকছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এ কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছিলো দেশের পুঁজিবাজারে। তখন দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ছোট-বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কারখানা ও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বেশকিছু কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানির ক্যাটাগরি বহাল রাখতে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা জারি করেছিলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোনো কোম্পানি হিসাববছরে লভ্যাংশ ঘোষণা বা বিতরণে ব্যর্থ হলে সে কোম্পানির ক্যাটাগরি অপরিবর্তীত থাকবে বলে জানানো হয় বিএসইসির ঐ নির্দেশনায়। তবে কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ সুবিধা পাচ্ছে আর মাত্র কয়েকদিন। যেসব কোম্পানি সর্বশেষ বছরের লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয় সেসব কোম্পানি আবারও সে সুযোগ পাবে না। সেই হিসাবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির জারি করা এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ প্রদান করেছে সেগুলোর ক্যাটাগরি পরিবর্তন হবে। আর যেসব কোম্পানি এখনো লভ্যাংশ প্রদান করেনি বা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ন করতে ব্যর্থ হবে সেসব কোম্পানিগুলো ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে চলে যাবে। লভ্যাংশ না দিয়েও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে এমন কোম্পানি রয়েছে ৪৯টি। অর্থাৎ এসব কোম্পানিগুলো চলতি মাসের ২৮ তারিখের পরে ‘জেড’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হবে।
ডিএসই সূত্র মতে, প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু- ওয়াং ফুডস। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর,২০২২ অর্থবছরের জন্য সর্বশেষ ৬ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ০.৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ প্রদান করে। ফলে কোম্পানির ক্যাটাগরি বহাল থাকলে। অর্থাৎ কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, বেশকিছু আলোচিত-সমালোচিত কোম্পানি লভ্যাংশ না দিয়েও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। এমন কোম্পানির সংখ্যা ৩৯টি। কোম্পানিগুলো হচ্ছে আলোচিত-সমালোচিত- খান ব্রাদার্স, খুলনা প্রিন্টিং, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনটেক লিমিটেড, কেয়া কসমেটিকস, এক্টিভ ফাইন, এএফসি এগ্রো বায়োটিক লিমিটেড, আলহাজ টেক্সটাইল, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আনলিমা ইয়ার্ন ডাইং, আরামিট সিমেন্ট, এটলার্স্ট বাংলাদেশ, আজিজ পাইপস, বঙ্গজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস (বিবিএস), বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, ঢাকা ডাইং, ডেল্টা স্পিনিং, ফার কেমিক্যাল, ফাস ফাইন্যান্স, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, মেট্রো স্পিনিং, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল ফিড মিল, ন্যাশনাল টি, ন্যাশনাল টিউবস, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, পেনিনসুলা চিটাগং, প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস, রিজেন্ট টেক্সটাই, সাফকো স্পিনিং, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপিয়ার্ড এবং জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
এদিকে লভ্যাংশ না দিয়েও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে এমন কোম্পানির সংখ্যা ১০টি। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- কাট্টলী টেক্সটাইল, ম্যাকসন স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, নিউ লাইন ক্লোথিংস, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, রিং সাইন টেক্সটাইল, রানার অটোমোবাইলস পিএলসি, সাইফ পাওয়ারটেক, সায়হাম কটন মিলস এবং সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
এসএম