প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের লিখিত (খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগ) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় এই পরীক্ষা শুরু হয়। খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের ২২টি জেলা শহরে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা দিচ্ছেন চার লাখের বেশি চাকরিপ্রার্থী।
মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে সকাল সাড়ে আটটায় প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়। তার আগে প্রার্থীরা অনলাইন থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলাপ্রশাসকরা নিজ নিজ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসসহ সব ধরনের প্রতারণা এড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন। তিনি জানান, লিখিত পরীক্ষায় ২০-২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের মাধ্যমে টিকিয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রলোভনের অভিযোগে জয়পুরহাট জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জেলায় মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলায় পৌঁছে গেছেন।
কর্মকর্তারা জানান, চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ছাড়া কোনো প্রকার ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্য কোনো কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারেননি।
দ্বিতীয় পর্বে মোট পরীক্ষার্থী চার লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৬০৩টি এবং কক্ষ নয় হাজার ৩৫৭টি। ২০২৩ সালের ২০ মার্চ দ্বিতীয় পর্বের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই