সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রসুন আমদানি দ্বিগুণ বেড়েছে। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি হওয়ায় মসলাপণ্যটির আমদানি বেড়েছে। তবে আমদানি বাড়লেও সাতক্ষীরার বাজারগুলোয় দাম কমছে না, উল্টো বাড়ছে।
ভোমরা স্থলবন্দরের এক মসলা আমদানিকারক জানান, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে রসুন আমদানি বাড়িয়েছে তার প্রতিষ্ঠান। গত অর্থবছরের এ সময় সপ্তাহে আমদানি হয়েছে ১০-১২ ট্রাক। সেখানে এখন ১৮-২০ ট্রাক রসুন আমদানি করছে তার প্রতিষ্ঠান। আমদানীকৃত এসব রসুন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে এ বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি হয়েছে ১৩ হাজার ১৭১ টন, যার আমদানি মূল্য ২০৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময় আমদানি হয়েছিল ৭ হাজার ৩১৯ টন, যার আমদানি মূল্য ছিল ১০৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে আমদানি বেড়েছে ৫ হাজার ৮৫২ টন।
মসলা আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, আমদানীকৃত প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়। গত বছরের এ সময় দাম ছিল ১৩০-১৪০ টাকা।
আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত দাম বাড়তি। ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং ভারতেও সব ধরনের মসলার ঊর্ধ্বমুখী দামও এক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
অর্থসংবাদ/এমআই