অস্তিত্বহীন ওটিসির ২৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএসইসি

দেশের উভয় পুঁজিবাজারের ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত চার বছরের বেশি সময় ধরে আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল না করা, করপোরেট গভর্নেন্স কোড পরিপালন না করা এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে,ওটিসি মার্কেটে যেসব কোম্পানি রয়েছে তাদের অধিকাংশেরই অস্তিত্ব নেই। ফলে এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে ভোগান্তিতে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ওটিসি মার্কেটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৬৪টি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ৪৯টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি কোম্পানি গত চার বছরের বেশি সময় ধরে নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন, বিভিন্ন প্রন্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলো বার্ষিক সাধারণ সভাও করছে না। এর ফলে কোম্পানিগুলোর করপোরেট পারফরমেন্স, আর্থিক সক্ষমতা ও করপোরেট গভর্নেন্স প্রাকটিস ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছে বিএসইসি।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, আইন লঙ্ঘন করা ওটিসির ২৩টি কোম্পানির মধ্যে সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মেটালেক্স করপোরেশন। এছাড়া ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিসিটি মিটার; ২০০৪ সালে রাসপিট ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন, রোজ হেভেন বলপেন ও পারফিউম কেমিক্যালস; ২০০৭ সালে ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল; ২০০৯ সালে এক্সেলসিওর সুজ, জার্মান বাংলা জে ভি ফুড ও আমান সি ফুডস ইন্ডাস্ট্রিজ; ২০১০ সালে পেট্রো সিন্থেটিকস, জাগো করপোরেশন ও ড্যান্ডি ডায়িং; ২০১১ সালে কাশেম টেক্সটাইল, কাশেম সিল্ক ও বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্টস; ২০১৩ সালে বাংলা ফাইন সিরামিকস ও মেঘনা শ্রিম্প কালচার; ২০১৪ সালে বাংলা প্রসেস ও আশরাফ টেক্সটাইল এবং ২০১৫ সালে মিতা টেক্সটাইল, গাল্ফ ফুডস, ঢাকা ফিশারিজ ও বাংলাদেশ প্লান্টেশন বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন বছরের প্রান্তিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেনি। ফলে কোম্পানিগুলো করপোরেট গভর্নেন্স কোডসহ সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর বিএসইসির ৭৪৩তম সভায় সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের কারণে ২৩ কোম্পানির মধ্যে কাশেম সিল্ক এবং কাশেম টেক্সটাইলের প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র ছাড়া) ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করে কমিশন।

এর মধ্যে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন; ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন; ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ এবং ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন ও ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩০ জুন তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি কাশেম সিল্ক।

একইভাবে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন; ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন; ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ ও ১০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৯ সালের ৩০ জুন তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি কাশেম টেক্সটাইল।

ফলে কোম্পান দু’টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২সিসি ভঙ্গ করেছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় কোম্পানি দু’টির পরিচালকদের জরিমানা করেছে বিএসইসি।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত