পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে উদ্যোক্তা শেয়ার বন্ধক রাখার অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে কোম্পানিটিকে এ অনুমতি প্রদান করা হয়।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, চলতি মূলধন মেটানোর জন্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩০ শতাংশ বাধ্যতামূলক হোল্ডিংয়ের বাইরে বাকি ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার ঋণের জন্য জামানত হিসাবে বন্ধক রাখার অনুমোদন পেয়েছে এমারেন্ড অয়েল।
বিএসইসি জানিয়েছে, মিনোরি বাংলাদেশকে ৩০ শতাংশ শেয়ার মার্জিন হিসাবে বন্ধক রাখার বা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না এবং নতুন-ইস্যু করা শেয়ারগুলি তিন বছরের জন্য লক-ইন থাকবে। যা বন্ধক বা লিয়েন রাখা যাবে না।
মিনোরি বাংলাদেশ এমারেল্ড অয়েলের ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক। শেয়ারগুলোর মধ্যে মিনোরি বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার বা ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে কিনেছিল। বাকি শেয়ার অর্থ জমার বিপরীতে নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মালিক হয়েছিল। তবে মিনোরি বাংলাদেশ সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে কেনা শেয়ার ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে বন্ধক রাখতে পারবে।
মিনোরি বাংলাদেশ-জাপানী কৃষি কোম্পানি মিনোরি কোম্পানি লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি ২০২১ সালে এমারেল্ড ওয়েল পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। বিএসইসি থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে যাওয়া এমারেল্ড ওয়েলকে উৎপাদনে ফেরাতে প্রায় ৩১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে বিএসইসি এমারল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজকে মিনোরি বাংলাদেশের পক্ষে ৩ কোটি ১৫ লাখ নতুন শেয়ার ইস্যু করার অনুমতি দেয় এবং নতুন বিনিয়োগকারীদের কোম্পানির বোর্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার অনুমতি দেয়। মিনোরি বাংলাদেশ কোম্পানিটি পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর দীর্ঘ ৬ বছর পর বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে।
অর্থসংবাদ/এমআই