ডিএসইএক্স সূচকের সংশোধনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই)। এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসএন্ডপি ইনডেক্স মেথোডলজি অনুযায়ী ডিএসইএক্স সংশোধন করা হয়। যা ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত পদ্ধতিতেই করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসএন্ডপি কর্তৃক প্রদত্ত ইনডেক্স মেথডোলজি অনুযায়ী রি-ব্যালেন্সিং রেফারেন্স তারিখ অনুযায়ি ফ্লোট সমন্বিত মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ১০০ মিলিয়নের উপর হতে হবে, তবে অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করা সাপেক্ষে বর্তমান সূচক কোম্পানির ক্ষেত্রে তা ৭০ মিলিয়ন হলেও চলবে। পাশাপাশি স্টকগুলোর ন্যূনতম ছয় মাসের দৈনিক গড় লেনদেনের মূল্য ১ মিলিয়ন টাকা থাকতে হবে। যদি অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করে তবে বর্তমান সূচকের কোম্পানিগুলোর গড় লেনদেন ০.৭ মিলিয়ন টাকা হলেও স্টকটি সূচকে থাকবে।
এছাড়াও সূচকের জন্য যোগ্য স্টকগুলোকে রি-ব্যালেন্সিং তারিখের তিন মাস আগের প্রতি মাসে স্বাভাবিক ট্রেডিং কার্যক্রমের অন্তত ৫০ শতাংশ ট্রেডিং দিবস থাকতে হবে। সে বিবেচনায় এসএন্ডপি ইনডেক্স মেথোডলজি অনুযায়ী ২০২৪ সালে ইনডেক্সে রি-ব্যালেন্সিং-এর পর ১৬টি নতুন কোম্পানি ডিএসইএক্স সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়। আর ৮৩টি কোম্পানি বাদ পড়ে যায় এ সূচক থেকে। যা ২০১৩ সাল থেকে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে দাবি করে ডিএসই। এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডিএসই৷
সূত্র জানায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ২০১৩ সাল থেকে এসএন্ডপি কর্তৃক প্রদত্ত ইনডেক্স মেথোডোলজি অনুযায়ী একটি কমিটি রি-ব্যালেন্সিং এর কাজটি করে৷ কোন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক গুজবের বশবর্তী হয়ে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত না নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই।
অর্থসংবাদ/এমআই