বাজার নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ মজুত ঠেকাতে খাদ্য অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনার জন্য মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বাজার তদারকির স্বার্থে খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব ছুটি বাতিল করে নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
রোববার অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, বর্তমানে সারাদেশে ধান, চাল, আটা ও ময়দার বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনসহ প্রতিদিন বাজার মনিটরিং ও অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে।
এ অবস্থায়, পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বাজার মনিটরিং ও অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযান চলমান রাখার স্বার্থে খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনসহ প্রতিদিন নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
রমজানকে সামনে রেখে বাজারে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অভিযান পরিচালনা করেও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশে নিত্যপণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরাত্মকে দায়ী করা হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ব্যবসায়ীদের অধিক লাভের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। চালের দাম বৃদ্ধির পিছনে মিলার, পাইকারী ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট সকলের দায় আছে। ফুড গ্রেইন লাইসেন্স স্পটে গিয়ে দেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অনেকে আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুত করে ফেলে। এটা তো হতে পারে না।
অনুষ্ঠান চলার সময়েই মজুত বিরোধী অভিযানের সময় খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ছুটি বাতিল ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কর্মস্থলে অবস্থান করার আদেশ জারি করতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে টেলিফোনে নির্দেশনা দেন খাদ্যমন্ত্রী।