অনলাইনে লেনদেনে ব্যাংকের কার্ডধারীদের আগ্রহ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ব্যাংকের কার্ডে ই-কমার্স খাতে লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের এ সময়ে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা বা ৩৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ব্যাংকের কার্ডে ই-কমার্স খাতে লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ জুলাই মাসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা ৬৮ লাখ টাকা। এর পরের মাসে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিলো। আগস্টে অনলাইন কেনাকাটায় লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৮০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাংকের কার্ডে ই-কমার্স খাতে লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। পরের মাস অক্টোবরে লেনদেন দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। মাসটিতে ই-কমার্সে লেনদেন হয় ১ হাজার ৫৮৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর পরের মাসেও লেনদেন দেড় হাজার কোটি টকার উপরে ছিলো। নভেম্বর মাসে লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৬২২ কোটি ১২ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, দেশের ই-কমার্স খাতে সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে। এর ফলে খাতটিতে প্রতারণা অনেকটাই কমে এসেছে। এ ছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ নিজস্ব সেটেলমেন্ট হিসেবে নেওয়াসহ নানা নীতির কারণে এই খাতে আস্থা ফিরছে মানুষের। গ্রাহকদের আগ্রহ যদি বাড়তে থাকে তাহলে এই খাত আরও বড় হবে।
এদিকে ই-কমার্স খাতে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে এলে এই খাতে গ্রাহকদের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছিলো। অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অগ্রিম টাকা নিয়ে দীর্ঘদিনেও পণ্য বা সেবা সরবরাহ করছিলো না। এ নিয়ে ২০২১ সালের জুনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশিকা জারি করে। বাংলাদেশ ব্যাংক ওই নির্দেশনার আলোকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, পরিশোধ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ নিজস্ব সেটেলমেন্ট হিসেবে ধারণ করবে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পণ্য সরবরাহের পর দাম পাবে। লেনদেন নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যাংক, এমএফএস বা ই-ওয়ালেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান কাজ করতে পারবে।
কাফি