অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক বাজারে দুর্বল চাহিদা থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো গত বছর চীনা শিল্প খাতের বার্ষিক মুনাফা ২ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। যা আরও চাপের মুখে ফেলেছে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে। দেশটির ন্যাশনাল ব্যুারো অব স্ট্যাটিসটিকস (এনবিএস) বরাতে এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এনবিএস বলেছে, বছর ব্যবধানে গত বছরের প্রথম ১১ মাসে সংস্থাগুলো মুনাফা কমেছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
মুনাফা কমার বিষয়ে সাংহাইয়ের হাওয়াবাও ট্রাস্টের অর্থনীতিবিদ নি ওয়েন বলেন, মূলত ফ্যাক্টরি গেটে পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে পড়ে যাওয়ার কারণেই গত বছর শিল্প সংস্থাগুলোর মুনাফা কমে গেছে। তবে চাহিদা কিছুটা বাড়ার পাশাপাশি চীন, ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের ইনভেন্টরি কমে যাওয়ায় চলতি বছর সংস্থাগুলোর মুনাফা ৫ থেকে ৬ শতাংশ বাড়বে আশা করা যায়।
বছরের শেষের দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষণীয়ও ছিল বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। কেবল ডিসেম্বরেই এক বছর আগের তুলনায় শিল্প খাতের মুনাফা ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। অবশ্য নভেম্বর মাসে এ হার ছিল ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ। তাছাড়া বিগত ৫ মাসেই দেশটি শিল্প খাতের মাসিক মুনাফা বেড়েছে।
তার আগে অতিমারি করোনার সংশ্লিষ্ট কঠোর বিধিনিষেধের মুখে ২০২২ সালে চীনের শিল্প খাতের বার্ষিক মুনাফা ৪ শতাংশ কমে যায়।
এদিকে এনবিএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয়াদেশ বাড়ায় ২০২৩ সালে রেলওয়ে, জাহাজ ও মহাকাশ পরিবহন সরঞ্জাম খাতের মুনাফা ২২ শতাংশ বেড়েছে। একই সঙ্গে রের্কড গাড়ি উৎপাদনের ওপর ভর করে দেশটির অটোমোবাইল শিল্প খাতের মুনাফা বেড়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। তাছাড়া ২০২৩ সালে চীনের অর্থনীতি ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রসারিত হয়েছে। যদিও মহামারি পরর্বতী পরিস্থিতিতে দেশটির অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই